মানবপাচার মামলায় অমি রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি। ছবিটি গত ১৫ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তোলা। ফাইল ছবি

চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার করার মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিকে মানবপাচার মামলায় দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এর আগে গত ২৩ জুন রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় মানবপাচারের অভিযোগে করা মামলায় অমিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

এর আগে গতকাল চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে জামিন দেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা। 

পরী মণির মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরী মণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদের তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে অমির সঙ্গে যান। সে সময় তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন ক্লাবের কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ।

গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরী মণি। তিনি দাবি করেছেন যে, ছয়জন তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর গত ১৩ জুন রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না। ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।

পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ পরী মণির মামলা গ্রহণ করে। মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের মাদক মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় নাসির ও অমিকে রিমান্ডে নেয় সাভার মডেল থানার পুলিশ।

এদিকে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তারের পরে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, অমির ৪টি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভিসা কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

এর পরে গত ১৭ জুন রাজধানীর দক্ষিন খান থানায় অমির বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। মামলায় অমি ছাড়া আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও পাঁচ-সাতজনকে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।