মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক : ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশে নিরাপত্তা হেফাজতে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয় বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই অভিযোগ কোনো বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার অংশ।
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
বিভিন্ন সময়ে ঢালাওভাবে গুমের অভিযোগ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরবর্তীকালে এসব মিথ্যা প্রমাণ হয়, যা অতি সম্প্রতি দেখা গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পদ বিনষ্টের সময় বাধা দিলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপর সরাসরি হামলার ছবিও দেখা যায়, দেখা যায় থানা আক্রমণসহ আগুন দেওয়ার ঘটনা।’
সরকারি অফিসে হামলা চালিয়ে নথিপত্রে আগুন দেওয়ার ঘটনাও দেখা যায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব ঘটনা মানবাধিকার সংগঠনগুলো বক্তব্য-বিবৃতিতে কিছুই বলে না।
আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে জীবন্ত মানুষ যখন দগ্ধ হয়, তখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোথায় থাকে?’
কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ প্রত্যাশিত নয় বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, হেফাজতে কোনো অপরাধমূলক কাজ হলে নিজস্ব আইন অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনার নজির রয়েছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরকার জনমনে শান্তি ও স্বস্তি বিধানে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের অধিকার আদায়ে সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাম্প্রতিককালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ফেনীর নুসরাত, বরগুনার রিফাত শরিফ, কক্সবাজারে মেজর সিনহাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং নারীর প্রতি অমর্যাদাকর প্রতিটি ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনাকালেও অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ইতিবাচক ধারা এবং প্রবৃদ্ধি বিস্ময় জাগিয়েছে, যা অনেকের সহ্য হয় না। এ অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে দেশ ও সরকারবিরোধী এসব তৎপরতা পরিকল্পিত কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক ও একচোখা দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহনকারী বিবৃতি বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করার সংঘবদ্ধ অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।