মানবিক সহায়তায় বাঁচতে পারে জব্বারের জীবন
ক্যানসারে আক্রান্ত আব্দুল জব্বার বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তা চেয়েছেন। তিনি ওরাল ক্যানসারে (মুখের ক্যানসার) আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। গত বছর তার ক্যানসার ধরা পড়ে।
এরপর থেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার। খরচ মেটাতে স্ত্রী শাহিনূর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন। তাদের চার সন্তানের মধ্যে হান্নান টেইলার্সের দোকানে কাজ করেন। আরেকজন অর্থের অভাবে স্কুলে পড়ালেখা করতে পারছে না। পরিবারকে সহায়তা করতে শিশু বয়সেই কসমেটিকসের দোকানে কাজ করছে সে। আর দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে আগেই।
বর্তমানে হাজারীবাগের হাজি আফসার উদ্দিন রোডে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ থাকছেন জব্বার। মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডেন্টাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হাসান খন্দকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। তবে সেই হাসপাতালে রোগীর প্রচুর ভিড় থাকায় শত চেষ্টার পরও ভর্তি হতে পারছেন না তিনি। তাই বাড়িতে থেকেই চলছে চিকিৎসা।
এরই মধ্যে পচন সৃষ্টির মতো অবস্থা হয়েছে আব্দুল জব্বারের মুখে। আর এতে তৈরি হয়েছে দুর্গন্ধ। এ দুর্গন্ধের মধ্যেই জব্বারের সঙ্গে একই ঘরে রয়েছে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে।
শাহিনূর বলেন, আমরা বরিশালে থাকতাম। ২০১৩ সালে নদী ভাঙনের জন্য আমাদের বাড়িঘর তলিয়ে যায়। এরপর আমি ঢাকায় এসে কাজ শুরু করি। কিন্তু আমার স্বামী বরিশালেই থাকতেন। তিনি সেখানে মাছ শিকার করতেন। এর মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে দুবছর আগে ঢাকায় আসেন চিকিৎসার জন্য। পরে গত বছর তার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারিনি। কোনোমতে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি। মানুষের বাড়িতে কাজ করে তো আর ক্যানসারের চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। আমরা ঠিকমতো খেতেই পারি না, ক্যানসারের চিকিৎসা করাব কখন। কেউ যদি আমাদের বাড়িতে এসে দেখেও যায়, তাহলেও বুঝতে পারবে আমাদের কী অবস্থা। আত্মীয়-স্বজনরাও বা আর কত সহযোগিতা করবে? আমার সহায়-সম্বল বলতে কিছুই নেই। বরং অনেক ঋণ হয়ে গেছে।’
বড় ছেলে হান্নান বলেন, এর মধ্যে সাতটি কেমোথেরাপি দেওয়া শেষ হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়তই ওষুধসহ চিকিৎসার বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। প্রতিটি কেমোথেরাপি দিতে ২৫ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। তবে সরকারিভাবে মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভিড়ের জন্য কেমোথেরাপি দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাবাকে এর মধ্যে রেডিওথেরাপি দেওয়ার কথা বলেছেন ডাক্তার। এখন সরকারিভাবে রেডিও থেরাপি দেওয়ার সিরিয়াল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচুর ভিড়। বেসরকারিভাবে দিতে সর্বনিম্ন দেড় লাখ টাকা দরকার। আর সবমিলিতে দরকার কয়েক লাখ টাকা। এতগুলো অর্থ আমাদের পক্ষে যোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই বাবাকে বাঁচাতে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন হান্নান।
আব্দুল জব্বারকে বাঁচাতে সাহায্য পাঠাতে পারেন-
বিকাশ নম্বর : 01983127338 (পারসোনাল)