মানিকগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর

Looks like you've blocked notifications!
মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আতাউর রহমানের ভাঙচুর করা নির্বাচনী ক্যাম্প। ছবি : এনটিভি

মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আতাউর রহমানের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা শহরের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন নির্বাচনী অস্থায়ী এই ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়।

আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতের বেলায় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মেয়র প্রার্থী মো. রমজান আলীর কর্মীরা আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

লিখিত অভিযোগ এবং দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক বরাদ্দের পর মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের নির্বাচনী ক্যাম্প করেছেন।

জেলা শহরে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন নির্বাচনী ক্যাম্প করেন বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আতাউর রহমানের কর্মী ও সমর্থকেরা। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থীর বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক সেখানে অবস্থান করেন। পরে তাঁরা চলে গেলে সেখানে ভাঙচুর করা হয়।

আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে তিন-চারটি লাইট ভাঙা। ছেড়া পোস্টার মাটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান বলেন, ‘পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রমজান আলীর কর্মীরা আমার কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। পোস্টার টাঙাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রমজান আলী বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থীর কর্মীরাই নিজেদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। ওই নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের সঙ্গে আমার কোনো কর্মী-সমর্থকেরা জড়িত নয়।’

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং ও নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রশিক্ষণে মানিকগঞ্জের বাইরে আছি। বিষয়টি বিএনপির মেয়র প্রার্থী জানিয়েছেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। আমি আগামীকাল মঙ্গলবার এসে বিষয়টি তদন্ত করে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা উদঘাটন করার চেষ্টা করবো। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

যোগাযোগ করা হলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’