মানিকগঞ্জে বৃদ্ধাকে রাস্তায় ফে‌লে গে‌ছেন স্বজনরা

Looks like you've blocked notifications!
মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নের আলিনগর গ্রামে পাওয়া নব্বই ঊর্ধ্ব সেই বৃদ্ধা। ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নের আলিনগর গ্রামে নব্বই ঊর্ধ্ব এক বৃদ্ধার সন্ধান পাওয়া গেছে। বৃদ্ধার কণ্ঠস্বর স্পষ্ট নয় বলে তাঁর প্রকৃত ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। তবে অস্পষ্ট ভাষায় যতটুকু বোঝা বা জানা যায়, তাঁর বাবার বাড়ি রাজীবপুর নামক কোনো এক গ্রামে। তার নাম মালেকা এবং স্বামী বেপারী।

এছাড়া তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলের নাম নুরু ও অপর ছেলের নাম হারু। তবে মেয়ের নাম বলতে পারেনি।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই সন্ধ্যায় আলিনগর গ্রামের নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বৃদ্ধার দেখা হলে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি নাগরপুরে। তাঁর ছেলে তাকে সন্ধ্যার কিছু আগে বা পরের কোনো এক সময় আলিনগরের বাজারখোলা এলাকায় রেখে চলে গেছেন। পরবর্তী সময়ে আর ফিরে আসেননি।

নাজমুল বৃদ্ধার বাড়ি নাগরপুর এলাকায় জানতে পেরে তাঁকে তার নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন। কেননা নাজমুলের শ্বশুড়বাড়িও নাগরপুরে। বাড়িতে আনার পর তার (নাজমুলের) স্ত্রী জানায় বৃদ্ধা তার পরিচিত নয়। তথাপি এতো রাতে এই বৃদ্ধাকে নিজ বাড়িতেই সারা রাত রাখেন। এরই মধ্যে নাজমুল স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারকে বিষয়টি জানান। তবে এখনও পর্যন্ত মেম্বার সরেজমিন পরিদর্শন করতে আসেনি।

আজ সকালে নাজমুলের বাড়ি থেকে বৃদ্ধা কাছের আরেকটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের পরামর্শ অনুযায়ী একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর (আহাদ) বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অপরদিকে, বিষয়টি প্রসঙ্গে গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফছার উদ্দিন সরকারের সঙ্গে ফোনালাপ হলে চেয়ারম্যান জানান, যেহেতু বৃদ্ধা তাঁর সঠিক পরিচয় দিতে পারছেন না, সেহেতু তাঁর ছবি দিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা যেতে পারে। আর যদি সে আশেপাশের কোনো ইউনিয়নের বাসিন্দা হয় তাহলে অন্য চেয়ারম্যানের দৃষ্টিতে বিষয়টি আসবে বলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকেও পোস্টের সিদ্ধান্ত নেন।

এছাড়াও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরও বিষয়টি জানানো যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, উদ্ধারকারীদের ভাষ্যমতে, সম্ভবত বৃদ্ধাকে তার স্বজনরা মারধরও করেছেন। বৃদ্ধার সঙ্গে একটি চটের ব্যাগ রয়েছে যার ভেতরে কিছু কাপড়, টাকা, তেল-চিরুনি রয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের দাবি বিষয়টি প্রশাসনের তদারকিতে বৃদ্ধা তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবেন।