মানুষ দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি চায় : আলাল

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ছবি : এনটিভি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। মানুষ দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি চায়। তার প্রকৃত প্রমাণ হচ্ছে বিএনপির সমাবেশগুলো। মানুষের বেঁচে থাকার যে আকুতি, সেই জায়গায় কোনো বিভেদ নেই সমাবেশগুলোতে।’

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের কর্মসূচি চলছে। আমরা তো বলিনি বিএনপি এই মুহূর্তে ক্ষমতায় যাবে। আমরা তো বলিনি খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে কিংবা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আমরা মানুষের কষ্টের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। সেই কষ্ট মানুষ অনুভব করতে পেরেছে বলেই বিএনপির সমাবেশগুলোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’ 

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘গার্মেন্টসের যারা মালিক তারা আবার একই সাথে ব্যাংকের মালিক, ইন্ডাস্ট্রিজের যারা মালিক তারা আবার একই সাথে ব্যাংকের মালিক। তারাই আবার আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় নেতা, আওয়ামী লীগের তহবিলের তারাই সবচেয়ে বেশি টাকা দেয়। তারপরেও এই অর্থবছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি কেন? যারা ব্যাংকের টাকা মেরে খেয়েছেন, মানুষের গচ্ছিত সঞ্চয়ের টাকা মেরে খেয়েছেন, সাধারণ মানুষের রক্ত শোষণ করেছেন আপনারা।’ 

আলাল বলেন ‘এ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যে মামলায় তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। ৮ হাজার মাইল দূরে রয়েছেন তারেক রহমান, তাকে নিয়েও এত ভয়। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা তারেক তারেক বলতে বেহুঁশ হয়ে যায়।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আতঙ্ক এমনভাবে পেয়ে বসেছে, কোথায় বসে তারেক রহমান একটি শব্দ করল বা হাঁচি দিলো, সঙ্গে সঙ্গে এখানে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায়। গণভবনের ফ্লোর কাঁপে, বঙ্গভবনের চেয়ার কাঁপে। এত কেন ভয়? চালাতেই যদি না পারেন তাহলে রাতের অন্ধকারে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে মাফ চান। তাঁকে বলুন অনেক অন্যায় করেছি মাফ করে দেন। দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য আসুন একসাথে কাজ করি। ভালো হয়ে যান সময় আছে। ভালো না হলে ভালো কীভাবে করতে হয়, বাংলাদেশের মানুষ তা জানে।’

মানববন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আনিস আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।