মামলার জট কমাতে বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন : প্রধান বিচারপতি
দেশে ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারক রয়েছে মাত্র দুই হাজার। বিচারক স্বল্পতার জন্যই বাড়ছে মামলার দীর্ঘসূত্রতা। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এসব তথ্য জানিয়েছে। একইসঙ্গে নতুন করে বিচারক নিয়োগের কাজ চলমান বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, মামলার জট কমাতে বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতে এসব তথ্য জানান প্রধান বিচারপতি। মেহেরপুর জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে সেখানে যান তিনি।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশে মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম। ফলে, বাড়ছে মামলার দীর্ঘসূত্রতা। তারপরও মামলাজট কমাতে বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশে ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার, যা একবারেই কম। ইতোমধ্যে ১০২ জন বিচারকের নিয়োগের কাজ চলছে, যা পুলিশি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া আরও একশ বিচারক নিয়োগের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
রাষ্ট্রের মালিক জনগণ জানিয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা কাজ করছি। এ জন্য প্রতি জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ। এ লক্ষ্যে সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি জেলায় ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণে ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আমরা ঠিকাদারদের বলবো, এটি নির্মাণে যাতে কোনোরকম অপব্যবহার না হয়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার মো. সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিচার বিভাগের রেজিস্টার এস কে এম তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাধার সম্পাদক অ্যাডভোকেট খ.ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল প্রমুখ।