মারধরের ভিডিও করায় সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন পাসপোর্ট কর্মকর্তা
কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মারধরের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন উপপরিচালক মো. নুরুল হুদা। পরে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে গেলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার তিন ঘণ্টা পর কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া হয়।
দৈনিক দুর্নীতির সন্ধানে পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম রানা তাঁর ব্যক্তিগত পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে যান। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধি মো. সাফিও ছিলেন।
রানা টোকেন সংগ্রহ করে পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ভেতরে হট্টগোল শুনে দুজন এগিয়ে যান। তাঁরা দেখতে পান পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক (ডিডি) নুরুল হুদা চেয়ার দিয়ে কয়েকজন পাসপোর্ট গ্রহীতাকে মারধর করছেন।
সাফি তাঁর মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ফুটেজ নেওয়া শুরু করলে উপপরিচালক নুরুল হুদা এগিয়ে এসে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সহকর্মী ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা পাসপোর্ট অফিসে যান। ঘটনার বিষয়ে উপপরিচালকরে সঙ্গে কথা বলেন।
মোবাইল কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কান্তি দাসসহ পুলিশের একটিদল উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। তিন ঘণ্টা পর পুলিশের মধ্যস্থতায় কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন নুরুল হুদা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রানা জানান, মারধরের ভিডিও ধারণ করার কারণে ডিডি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।
মারধরের শিকার পাসপোর্ট গ্রহীতা মো. সাকিব বলেন, ‘হোমনা থেকে সোমবার সকালে পাসপোর্টের জন্য এসেছি। চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে পায়ে ব্যথা অনুভব হওয়ায় আমিসহ চার-পাঁচ জন একটি টেবিলে বসি। এ সময় ডিডি নুরুল হুদা কোনো কিছু না বলেই চেয়ার দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন।’
এ বিষয়ে ডিডি মো. নূরুল হুদা বলেন, ‘অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ করায় মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’