মালদ্বীপ থেকে আরও বিনিয়োগ প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতির

মালদ্বীপের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবনে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে রাষ্ট্রপ্রধান এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন পরে এসব তথ্য জানান।
ষষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলনে (আইওসি) যোগদানের জন্য মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে ২০২১ সালের পরে বিগত বছরগুলোর তুলনায় আরও শক্তিশালী ও নিবিড় হয়েছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এসব সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। মালদ্বীপের মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি উদযাপনকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন মালদ্বীপকে বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নেওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বৈঠকে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উভয় দেশের একসঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
গত এক দশকে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে এখন স্বীকৃতি পেয়েছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-মালদ্বীপ সরাসরি সমুদ্র সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উভয় দেশ জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতেও অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।