মা-মেয়েকে বেঁধে নির্যাতন : চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

Looks like you've blocked notifications!
মা-মেয়েকে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আজ বুধবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গরুচোর সন্দেহে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের চারজনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম আজ বুধবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

ওই প্রতিবেদনে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আটজনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে। পরে আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতের বিচারক হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান ও সংশ্লিষ্ট চৌকিদারদের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে।’

অন্য আসামিরা হলেন হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানের সহযোগী নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, রাজিব, কবির, গ্রামপুলিশ নুরুল আমিন ও গ্রামপুলিশ আহমদ হোসেন। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন গ্রেপ্তার হয়ে গত ২৫ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন।

গত ২১ আগস্ট দুপুরে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গরুচোর সন্দেহে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের চারজনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পরের দিন শনিবার দিবাগত রাতে রশিতে বাঁধা অবস্থায় মা-মেয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব পদমর্যদার কর্মকর্তা) শ্রাবস্তী রায়কে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ২৪ আগস্ট চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের সুয়োমোটোর পর ওই বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে (চকরিয়া সার্কেল) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম আজ দুপুরে আদালতে তাঁর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।