মিতু হত্যা মামলায় জবানবন্দির পর মুসার স্ত্রীর জিডি

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার একদিন পরেই নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মামলার আসামি কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় তিনি এ জিডি করেন।

পান্না আক্তার জানান, গতকাল আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর থেকে নিজের ও সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তাই নিরাপত্তা চেয়ে তিনি থানায় জিডি করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ রেজার আদালতে জবানবন্দি দেন পান্না আক্তার। মিতু হত্যার পর থেকে মুসাকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার। মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন মুসা।

শুরু থেকেই পান্না আক্তার দাবি করে আসছিলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই কোতোয়ালি থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য মুসাকে ধরে নিয়ে গেছে। মিতুকে হত্যায় তাঁর স্বামী বাবুল আক্তার মুসাকে ব্যবহার করেছেন। এজন্য কোনো কিছু হবে না মর্মে ‘শেল্টার’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ঘটনার পর তাঁর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন। শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটি তদন্তের ভার দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মে ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। পরদিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী জেলা কারাগারে আছেন।