মিরকাদিমের মেয়রের বাসায় বিস্ফোরকের আলামত মিলেনি

Looks like you've blocked notifications!
মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস সালামের বাসভবনে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণে দগ্ধদের প্রথমে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ১২ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ছবি : এনটিভি

মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস সালামের বাসভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, সিআইডি, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া আজ বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস সালাম বিস্ফোরণের ঘটনাকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বলে দাবি করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর এলাকায় পৌর মেয়রের বাস ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মেয়রের স্ত্রী, চারজন পৌর কাউন্সিলরসহ ১৩ দগ্ধ হন।

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরক জাতীয় কোনো দ্রব্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলোয় লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।

পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পরই বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণস্থলে বিস্ফোরকের কোনো অস্তিত্ব মিলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থলে সিআইডি ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা কাজ করছেন। আমি ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় মেয়রের বাসভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ ঘুরে দেখেছি। সেখানে আগুনে পোড়া চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে ওই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিআইডি ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের তদন্ত প্রতিবেদনই প্রধান্য পাবে।

এ প্রসঙ্গে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস সালাম আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কুচক্রি মহল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাল ব্যাগভর্তি বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য বাসভবনের তৃতীয় তলার দরজার সামনে রেখে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পৌর নির্বাচনের বিরোধী পক্ষরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’