‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ পেলেন আশিক
‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২১’ পেলেন সাংবাদিক খায়রুল বাশার আশিক। এনটিভি অনলাইনে প্রকাশিত শিশু অধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি টেক্সট ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
আজ সোমবার বিকেল ৩টায় ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানটি ইউনিসেফ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। উপকূলের অবহেলিত মান্তা জনগোষ্ঠীর শিশুদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় এই অ্যাওয়ার্ডস জিতলেন আশিক। এনটিভি অনলাইনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘নৌকায় জন্ম ওদের, নৌকায় বেড়ে ওঠা’।
এনটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন
সাংবাদিক খায়রুল বাশার আশিকের জন্ম উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। বাবা আবুল কালাম আজাদ ও মা সেলিনা পারভীনের তিন সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স করলেও মনের পুষে রাখেন সাংবাদিকতা। অনার্সে পড়া অবস্থায় আশিক বরগুনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিবর্তন ডটকমে। এরপর দৈনিক খোলা কাগজে সহসম্পাদক পদে যোগ দেন। এরপর যুক্ত হন রাইজিং বিডিতে। পাশাপাশি গ্রামীণ শিশু, নারী, জেলে ও উপকূলীয় নানা সমস্যা ও সম্ভাবনাসহ ভ্রমণ প্রতিবেদন লিখতে থাকেন জাগো নিউজ, এনটিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ২০২১ সালের শুরুর দিকে তিনি শিক্ষানবিশ নিউজরুম এডিটর হিসেবে এনটিভি অনলাইনে যোগ দেন। বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি বাংলাদেশে সাব-এডিটর পদে কর্মরত।
অ্যাওয়ার্ডস প্রাপ্তির পর অনুভূতি ব্যক্ত করে আশিক বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কার কাজে উৎসাহ জোগায়। আমার কাছে এই পুরস্কার অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। এই পুরস্কার নিশ্চয়ই আমার কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে আগামীতে আরও ভালো প্রতিবেদন লেখায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
উল্লেখ্য, এ বছর মীনা অ্যাওয়ার্ডসের জন্য টেক্সট (প্রিন্ট/অনলাইন), ফটোগ্রাফি (প্রিন্ট/অনলাইন), ভিডিও (টিভি/অনলাইন) জমা পড়ে প্রায় এক হাজারের অধিক। সেখান থেকে প্রতিটি বিভাগে মনোনীত পাঁচজনের মধ্যে সেরা তিনজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত শিশুবিষয় প্রতিবেদনকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০০৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস। টেক্সট, ফটোগ্রাফি ও ভিডিও ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ডস দেয় ইউনিসেফ। ১৮ বছরের নিচে ও তদূর্ধ্ব এই দুই ভাগে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।
এবারের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসের (টেক্সট) বিচারক ছিলেন ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক ও শিক্ষক শাহনুর ওয়াহিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন। ফটোগ্রাফির জন্য রয়টার্সের ভিডিও সাংবাদিক রফিকুর রহমান, আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া এবং আলোকচিত্রী আবু নাসের। ভিডিওর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা এবং রয়টার্সের চিফ করেস্পনডেন্ট রুমা পল।