মীরজাফররা যেন কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউ মিলনায়তনে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

মীরজাফর, খন্দকার মোশতাকদের মতো ভবিষ্যতে এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশে মোশতাক, জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন কোনোদিন ক্ষমতায় না আসতে পারে, দেশের উন্নয়ন আর যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। বাংলার মাটিতে বার বার মীরজাফরদের জন্ম হয়েছে এবং তারা দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। কিন্তু পারেনি। এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যারা বিশ্বাস করে তারাই জয়ী হয়েছে।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিটিউ মিলনায়তনে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পিছনে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলো বলেই খন্দকার মোশতাক তাকে সেনাপ্রধান করেছিলো। যে স্বাধীন বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন এ স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে সেভাবে এগিয়ে যাবে। সবাই যেন তার মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একটাই স্বপ্ন ছিল। সেটা হলো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের একজন মানুষও যেন খাদ্যে কষ্ট না পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’

সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ওপর কালো মেঘের ছায়া ছিল। সে মেঘ কেটে গেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’

বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানিরা এ দেশের  শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।’

সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাব মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।