মুখোমুখি সাবরীনা-আরিফ, পরষ্পরকে দোষারোপের দাবি ডিবির

Looks like you've blocked notifications!

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল চৌধুরীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

ডিবি দাবি করেছে, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ডা. সাবরীনা তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীকে দোষারোপ করেন এবং বলেন, আরিফুলই তাকে ফাঁসিয়েছেন। এ সময় আরিফুল কিছুক্ষণ চুপ থেকে ডা. সাবরীনাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে তারও দায় রয়েছে।

দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত ছিলেন ডিবি পুলিশের এমন একজন কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনের কাছে এই দাবি করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে এই দম্পতি একে অপরকে দোষারোপও করেছেন।’

গত ২৩ জুন জেকেজির বিরুদ্ধে ‘করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে ইচ্ছেমতো রিপোর্ট দেওয়ার’ অভিযোগে তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রতারণার মামলার তদন্ত করছে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ। গতকাল বুধবার ডা. সাবরীনা ও আরিফুল চৌধুরী দুজনকেই রিমান্ডে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি।

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) গোলাম মোস্তফা রাসেল এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, ‘তাদের দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় তারা দুজন একে-অপরকে দোষারোপ করতে থাকেন। তাদের অপরাধের বিষয়ে প্রমাণ হাজির করলে তারা চুপ হয়ে যান। তবে সবশেষে তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেন। স্বীকার না করার কোনো পথ ছিল না। কারণ, আমরা সব ধরনের প্রমাণ হাজির করেছিলাম তাদের সামনে। তারা সরাসরি তাদের অপরাধের কথা স্বীকার না করলেও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে তাদের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন।’

‘ডা. সাবরীনা বারবারই বলছিলেন, তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান ছিলেন না। কিন্তু চেয়ারম্যান থাকার কাগজপত্র হাজির করলেও তিনি তা স্বীকার করেননি। সে সময় সাবরীনা নিজেকে ওই প্রতিষ্ঠানের আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দেন।’

জেকেজির অফিস থেকে জব্দ করা ডেস্কটপে দুই হাজারের বেশি কোভিড পরীক্ষার জাল রিপোর্ট পাওয়া গেছে বলে জানান গোলাম মোস্তফা রাসেল। তিনি আরো দাবি করেন, ‘সাবরীনা চেয়ারম্যান থাকার কথা অস্বীকার করলেও চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি জেকেজি থেকে বেতন নিয়েছেন। জেকেজির অফিসের কম্পিউটারের তাদের বেতনের এক্সেল সিটে আমরা সাবরীনার বেতন নেওয়ার তথ্য পেয়েছি। প্রতি মাসে তিনি ত্রিশ হাজার টাকা করে বেতন নিতেন বলে সেখানে দেখাচ্ছে। তবে কোম্পানিটা নিবন্ধিত কি না সেই ব্যাপারে কোনো তথ্য জেকেজির কেউ দেখাতে পারেনি।’