মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে অতিরিক্ত ব্যয় না করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর
মুজিববর্ষ উপলক্ষে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাড়তি টাকা খরচ না করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ওই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কৃষি সম্প্রসারণ নীতিতে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে দামি কৃষিযন্ত্র কেনা ও এর ব্যবহারের মাধ্যমে বড় জমিতে একই ধরনের ফসল চাষ ও বিক্রি করে কৃষকরা দ্বিগুণেরও বেশি লাভবান হতে পারবেন বলে জানানো হয়। এ ছাড়া মুজিববর্ষের কর্মসূচি নিয়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) যেটা বলেছেন আমরা বলে দিয়েছি মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তার একটা নোটেবল প্রোগ্রামকে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা দেবে তার সাধারণ বাজেট থেকে। যদি একসেপশনাল কোনো কাজ থাকে তার জন্য এক্সট্রা টাকা চিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কোনো কাজ করার দরকার নেই।’
সচিব আরো বলেন, ‘মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠানই তদারকি করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানমালার সাথে সমন্বয় করে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে কর্মসূচি প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বৎসরব্যাপী এমনিতেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এসব কার্যক্রমকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। তবে এতে অতিরিক্ত কোনো অর্থ ব্যয় ও বরাদ্দ করা যাবে না।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। এদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।