মুনিয়াকাণ্ডে জড়িতরা নিঃসন্দেহে মাফিয়া : সাংসদ হারুন

Looks like you've blocked notifications!
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : সংসদ টেলিভিশন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, মাননীয় স্পিকার, আইন উত্থাপন করে ও আইন পাস করে কী লাভ হচ্ছে? আইনের যদি সঠিক উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন না থাকে তাহলে সেটা পাস করা বৃথা। কারণ কয়েকদিন আগে মুনিয়া যাকে বনানী-গুলশানে বাড়িতে রেখে ব্যাভিচারের কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। তার সাথে যারা জড়িত, আইন কি নেই মাননীয় স্পিকার? আজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছে? আজ অন্য কেউ হলে, তাদের গ্রেপ্তার করা হতো এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসা হতো। তারা নিঃসন্দেহে মাফিয়া, মাননীয় স্পিকার।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদের এক আলোচনা সভায় বিএনপির এ সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, গতকালের পত্রিকায় দেখলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অভিযোগ করাটা একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। তাহলে আমরা কি ধরে নিব, আজকে গণমাধ্যমসহ কয়েক জায়গায় দুর্নীতির মামলার যে তথ্য এসেছে তা অসত্য? মাননীয় অর্থমন্ত্রী, উনি বললেন যে অর্থপাচারের সাথে জড়িত কারা, তাদের নাম দিন। তাহলে রাষ্ট্রের কাজ কী? আমাদের কেন নাম দিতে হবে? যারা অর্থপাচার করছে, তাদের সাথে তো আইন আছে। সে আইন অনুযায়ী আপনি আইনের প্রয়োগ করুন। যে কারণে মামনীয় স্পিকার আমি বলব, আজকে যে আইনটি এখানে নিয়ে আসছেন আজকে তা উদ্বেগজনক ঘটনা। বাড়ি থেকে আসার সময় দেখলাম আজকে  পরী মনির ভয়ানক ঘটনা। সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। সে মৃত্যু পথেরযাত্রী, তাঁকে ধর্ষণের এবং নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।’

সংসদ সদস্য বলেন, ‘কয়েকদিন আগে মুনিয়া যাকে বনানী-গুলশানে বাড়িতে রেখে ব্যাভিচারের কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল, তার সাথে যারা জড়িত, আইন কি নেই মাননীয় স্পিকার? আজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছে? আজ অন্য কেউ হলে, তাদের গ্রেপ্তার করা হতো এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসা হতো। তারা নিঃসন্দেহে মাফিয়া, মাননীয় স্পিকার। এসব ব্যক্তিদের যদি আইনের আত্ততায় না নিয়ে আসেন মাননীয় স্পিকার, তাহলে কী হবে?’ 

‘১৯৮৯ সালে আয়োডিনের ব্যবহারের জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। আজকে এ আইন পাস করার জন্য মাত্র দুই মিনিট সময় দিয়েছেন মাননীয় স্পিকার। এ আইন পাস হবে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে যে বিধি-বিধান দেওয়া হয়েছে, মাননীয় স্পিকার; আমি অনেকগুলো সংশোধনী দিয়েছি। এ সংশোধনী আপনি একটাও পাস করবেন না। আমি অনেকগুলো দিয়েছি, আপনি সংসদে একটাও পাস করবেন না। সুতরাং মাননীয় স্পিকার, আমি মনে করি আইন প্রণয়ন করছেন, আইনের প্রয়োগের জন্য। আপনারা সঠিকভাবে ও নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিন, আমরা আইন প্রয়োগ করব যে উদ্দেশ্যে, জনস্বার্থে মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য।’ যোগ করেন হারুনুর রশীদ।