মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় আজও ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল
রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা আজ থেকে খোলায় ঢাকায় কর্মস্থলমুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে। তবে, সকাল থেকে লঞ্চ চলায় ফেরিতে তুলনামূলক কমেছে যাত্রীর উপস্থিতি। আর, সড়কে গণপরিবহণ চলায় বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে যাত্রীরা পাড়ি দিতে পারছে গন্তব্যে, কমেছে ভোগান্তি।
এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটের লঞ্চে যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। আজ রোববার সকাল থেকে এই দুই নৌরুটে চলাচল করছে ৮৬টি লঞ্চ। শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি লঞ্চে দেখা যাচ্ছে যাত্রীর ভিড়। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। এতে লঞ্চে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে বাসসহ বিভিন্ন পরিবহণে যাত্রীরা ঢাকাসহ গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। বাড়তি যাত্রীর উপস্থিতিতে আজও অনেক কর্মস্থলমুখী মানুষকে ট্রাকসহ স্বল্পগতির যানবাহনে গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে আজ সকাল থেকে ১০টি ফেরি এবং ৮৬টি লঞ্চ চলাচল করছে।
পোশাকশ্রমিক মাজেদা বেগম নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তিনি কোনো ভোগান্তি ছাড়াই লঞ্চে এসে পৌঁছেছেন শিমুলিয়া ঘাটে। তবে, ফরিদপুরে পাগলা বাজার ঘাট পর্যন্ত আসতে তাঁর বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে। এখন শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাসে করে তিনি ঢাকা যাবেন।
রুহুল মিয়া এসেছেন বরিশাল থেকে। তাঁর দুই হাজার টাকার বেশি খরচ গেছে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত আসতে। তাঁর পরিবারের সদস্য পাঁচ জন। শিমুলিয়া ঘাটে এসে বাসে রওয়ানা দেবেন ঢাকার উদ্দেশে।
বৃদ্ধা আলেয়া বেগম পরিবারসহ এসেছেন। তিনি মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। অনেক কষ্ট করে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছেন ভেঙে ভেঙে, তাতে অনেক টাকা খরচ গেছে। তিনি বলেন, ‘পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি। কাল গার্মেন্টসে যোগ দিতে পারব বলে মনটা ভালো লাগছে।’
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব রহমান জানান, নৌরুটে ছোট- বড় মিলিয়ে বর্তমানে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। আজও ফেরিতে প্রচুর যাত্রী আসছে। তবে, লঞ্চ চালু হওয়ায় গতকালের তুলনায় যাত্রীর চাপ কমেছে অনেকটাই। শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়, এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি।
অন্যদিকে, বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেইমান জানান, দুই নৌরুটে ৮৬টি লঞ্চ সচল আছে। দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে, ঢাকামুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত সব লঞ্চ চলবে। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে যাত্রীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।