মুন্সীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি-গাছপালা, সহায়তার আহ্বান
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে এসব গ্রামের ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ কালবৈশাখী বয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ফুলকচি ও কাদুরগাও গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের ব্যাপক তাণ্ডবে একাধিক বাড়ি-ঘর, মুরগির খামার ভেঙে যায়। ঝড়ের পর খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে সব বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি। এরই মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ থেকে ৩০টি ঘর কালবৈশাখী ঝরের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে। এর মধ্যে মুরগির খামারও রয়েছে। কোলাপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।
কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুব শাহ জানান, গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় ৩০টি ঘর ভেঙে পড়ে যায়। সেই সঙ্গে উড়ে যায় ঘরের চাল। এর মধ্যে দুটি খামারও রয়েছে। ঝড়ে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ইউপি সদস্য বলেন, ‘বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি। সরকারের পক্ষ থেকে এখনই সহযোগিতার হাত বাড়ানো উচিত।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণব ঘোষ বলেন, ‘কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, এরই মধ্যে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে রয়েছে। তবে, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতার মধ্যে খাদ্য সহায়তা ছাড়া কিছু দিতে পারব না। পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝে নগদ অর্থ ও টিন দেওয়া হবে।’
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মারুফা বলেন, ‘আহত তিন জনের অবস্থা খুব খারাপ দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছে।’