মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড : দুইজনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন 

Looks like you've blocked notifications!
রোহিঙ্গানেতা মুহিবুল্লাহ নিহতের ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চার রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন ও উখিয়া থানা পুলিশ। এর মধ্যে আজ শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।

যে দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে তারা হলেন উখিয়া কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের ‘সি’ ব্লকের মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিম, অপরজন কুতুপালং ৩ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা শওকত উল্লাহ।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে।

এদিকে, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এবং শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিমকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে এপিবএন। অপরদিকে, উখিয়া থানা পুলিশ আজ শনিবার বিকেলে শওকত উল্লাহকে আটক করে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন, শওকত উল্লাহকে ক্যাম্প থেকে আটক করা হয়। এ পর্যন্ত মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপিবিএন তিনজন এবং থানা পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে শওকত উল্লাহ ও মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানিয়েছেন,  তাদের আটক করা তিন রোহিঙ্গাকেই উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহকে নিজ অফিসে পাঁচ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় তিন রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করে।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএনের টহল বাড়ানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।