মেয়র নয়, সেবক হবো : তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পেলে নগরবাসীর জন্য ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন খুলে সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেবেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। হেল্পলাইনে সমাধান না হলে সরাসরি তাঁকে অভিযোগ জানানোর সুযোগও থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই মেয়র পদপ্রার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুর-নিউমার্কেট এলাকার বিজিবি ৩ নম্বর গেটের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরুর করার আগে এক পথসভায় এ কথা বলেন নৌকা মার্কার প্রার্থী।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে মেয়র হিসেবে নয়, একজন সেবক হিসেবে ঢাকাবাসীর জন্য কাজ করে যাব। একজন সেবক হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২৪ ঘণ্টা ঢাকাবাসীর সেবা করবে। ঢাকাবাসী আমাকে তাদের কাছে ২৪ ঘণ্টাই পাবেন।’
‘আমাদের হেল্পলাইন আমরা চালু করব। যাতে ঢাকাবাসীর যে কোনো সমস্যা, যে কোনো অভিযোগ তাঁরা দিতে পারবেন। হেল্পলাইনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান না হলে হেল্পলাইন থেকে তাঁরা সরাসরি মেয়রকে ফোন করতে পারবেন। মেয়র সেই বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান দেবেন। এভাবে আমরা আমাদের সেবাকে সার্বক্ষণিক ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছাবো। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি সেবা প্রদানকারী সংস্থা। সুতরাং সেই সেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ঢাকাবাসীর জন্য ২৪ ঘণ্টাই সেবা প্রদান করার জন্য আমরা নিয়োজিত রাখবো।’
এ সময় ‘ঐতিহ্যের ঢাকা’, ‘সুন্দর ঢাকা’, ‘সচল ঢাকা’, ‘সুশাসিত ঢাকা’ এবং ‘উন্নত ঢাকা’- এই পাঁচ লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা নগরীকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে বাসযোগ্য সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। রাস্তা আবর্জনামুক্ত অবস্থায় থাকবে। মশক নিধন, সবুজায়ন- এসব আমরা দৈনন্দিন ভিত্তিতে করবো। ২৪ ঘণ্টা সিটি করপোরেশন এই কাজে নিয়োজিত থাকবে। আমাদের প্রাণের ঐতিহ্যের ঢাকা থাকবে একটি গর্বের জায়গায়।’
পুরাতন ঢাকার সমস্যা নিয়ে আগে কেউ কোনো পরিকল্পনা নেয়নি উল্লেখ করে এই বিষয়ে বিস্তর পরিকল্পনা আছে বলে জানান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম পরিকল্পনাই হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাকে নিয়ে। এখানে জলাবদ্ধতা নিরসন থেকে শুরু করে ব্যাপক কার্যক্রম আমরা হাতে নিব। আমাদের যে মহাপরিকল্পনা সেই পরিকল্পনার আওতায় ঐতিহ্যবাহী ঢাকাকে সচল করে তুলবো। নগরবাসী বাসযোগ্য সুন্দর নগরী পাবে।’
দায়িত্ব পেলে প্রথম ৯০ দিনে অগ্রাধিকার দিয়ে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করে মৌলিক নাগরিক সুবিধাগুলো নগরবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান ব্যারিস্টার তাপস।
নৌকার মার্কার উন্নয়নের রূপরেখা ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, ‘এর আগে কখনো ঐতিহ্যবাহী ঢাককে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। আমরাই প্রথম এটা করেছি। আমাদের পরিকল্পনার প্রথমেই রয়েছে ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা এবং ঐতিহ্যের যে স্বকীয়তা অপরূপ রয়েছে, সেটাকে প্রস্ফূটিত করা। আমরা যে মহাপরিকল্পনা নেবো সেখানে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করতে চাই। যে ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে তা কিভাবে পুনরুদ্ধার, পুনরুজ্জীবিত করতে পারি এবং বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারি সেটাই মূললক্ষ্য থাকবে।’
এ সময় আচরণবিধি মেনে সুশৃঙ্খলভাবে প্রচার চালাতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি এই মেয়র পদপ্রার্থী।
গণসংযোগে ব্যারিস্টার তাপসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনিবাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরসহ দল ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।