মেয়র সেলিমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে আ. লীগ

Looks like you've blocked notifications!
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিমের বহিষ্কারাদেশ চার বছর পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফাইল ছবি

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিমের বহিষ্কারাদেশ চার বছর পর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে সেলিম এখন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজী কামরুল হুদা সেলিম ২০০৩ সাল থেকে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কোনো পদে গাজী কামরুল হুদা সেলিমকে রাখা হয়নি।

২০১৫ সালে মানিকগঞ্জ পৌর নির্বাচনে গাজী কামরুল হুদা সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে জয়লাভ করেন। পরে সেলিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। চার বছর পর তাঁর বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলো আওয়ামী লীগ।

এদিকে গাজী কামরুল হুদা সেলিমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় তাঁর সমর্থকদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। তাদের প্রত্যাশা, আগামী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে গাজী কামরুল হুদা সেলিম সাধারণ সম্পাদক পদে ফের প্রার্থী হবেন।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, গাজী কামরুল হুদা সেলিম একজন দক্ষ সংগঠক। তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দলের জন্য ভালো খবর। এতে আগামীতে জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছি। দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিলেন। পৌর নির্বাচনে জনগণের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। এতে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটে। দলের প্রতি আস্থা রেখে বহিষ্কার হওয়ার পরও কাজ করে গিয়েছি। দলের সিদ্ধান্তে চার বছর পর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়াতে এখন থেকে দলের সব সাংগঠনিক কাজে অংশ নিতে পারবো।