মোংলার ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধের পাঁয়তারার অভিযোগ চেয়ারম্যানের

Looks like you've blocked notifications!
মোংলা বন্দরে চলমান ইনারবার (বন্দর জেটি-হাড়বাড়িয়া) ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করার পাঁয়তারার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। ছবি : এনটিভি

মোংলা বন্দরে চলমান ইনারবার (বন্দর জেটি-হাড়বাড়িয়া) ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করার পাঁয়তারার অভিযোগ করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। ৭৯৩ কোটি টাকার এ প্রকল্প বন্ধে একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে, এমনকি তারা সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আজ সোমবার বেলা ১১টায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

ওই মহলকে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। 

এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া থেকে বন্দর জেটি (ইনারবার) পর্যন্ত নাব্য বাড়াতে ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এটি করা হলে মোংলা বন্দরের জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারে ৯ দশমিক ৫০ থেকে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। কিন্তু ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করতে একটি মহল নানা রকম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইনারবারে ড্রেজিং করা বালু বা মাটি ফেলতে পশুর নদের তীরবর্তী বাণীশান্তা এলাকার ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৮৫ একর দুই ফসলি এবং ১১৫ একর এক ফসলি জমি রয়েছে।

সেখানে তিন ফসলি কোনো জমি নেই উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি মহল ওইসব জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে ওটিকে ‘তিন ফসলি জমি’ উল্লেখ করে ড্রেজিং করা বালু বা মাটি ফেলতে বাধা দিচ্ছে।

ষড়যন্ত্রকারীদের এসব অপতৎপরতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের উন্নয়নের অংশ মোংলা বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জরুরি এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, প্রধান প্রকৌশলী  (সিভিল ও হাইড্রোলিক) শেখ শওকত আলী, বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের সচিব কালাচাঁদ সিংহসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।