মোংলায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাইবোনকে মারধর
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মোংলায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের পর ওই শিক্ষার্থীসহ তাঁর পরিবারকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ইভটিজাররা। পরে এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবার ও থানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আঃ ছমেদ মুন্সীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এলাকার একটি দোকানে সাবান কেনার জন্য যান। পথিমধ্যে একই এলাকার মনজু (২৫), মামুন (২৮), মাসুদ (২৫), নাসির (৩২) ও হাসান (৩৫) ওই শিক্ষার্থীর পথরোধ করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে। তখন প্রতিবাদ করলে বখাটেরা শিক্ষার্থীর মুখে চড়থাপ্পড় মারে। লক্ষ্মীখালী মসজিদের সামনের এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর কান্না ও ডাক চিৎকার শুনে তাঁর বড় ভাই ছুটে গেলে তাঁকেও মারধর করে ওই ইভটিজাররা। এতে ওই শিক্ষার্থীসহ ভাই ফিরোজ গুরুতর আহত হন। এছাড়াওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে অভিযুক্তরা। পরে বাড়ির পেছন দিয়ে অন্যের বাড়ির মধ্যদিয়ে শহরে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর ভাই। ওই দিন রাতেই এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীর ভাই ফিরোজ মুন্সী।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রইচ উদ্দীন বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’