মোংলায় দুুই সপ্তাহ ধরে কালো ডিম পাড়ছে খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস

Looks like you've blocked notifications!
উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে নাজমা বেগমের পালিত হাঁসের কালো ডিম। ছবি : এনটিভি

মোংলায় একটি হাঁস কালো ডিম পেড়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস এ কালো ডিম পাড়ছে। আজ শনিবার সকালেও হাঁসের খোপ থেকে একটি কালো ডিম পেয়েছেন হাঁসপালনকারী ওই বাড়ীর গৃহিণী।

উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর জুলফিকার গাজীর (৩৫) স্ত্রী নাজমা বেগম দারিদ্র্যর কারণে তিন মাস ধরে হাঁস লালন পালন করে আসছেন। তিন মাস আগে নবলোক নামক একটি এনজিও থেকে দেওয়া হয় ২৫টি খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস। সেই সঙ্গে তিনি আরও ১০টি হাঁস কিনে পুষতে শুরু করেন। এরপর ১০টি হাঁস গত ১৪ থেকে ১৫ দিন ধরে ডিম পাড়তে শুরু করেছে। এরমধ্যে একটি হাঁস কালো ডিম দিয়ে আসছে। প্রতিদিন খোপ থেকে একটি কালোসহ নীল বর্ণের চার থেকে পাঁচটি করে ডিম পাচ্ছেন ওই গৃহিণী।

তিনি বলেন, ‘১৪ থেকে ১৫ দিন ধরে চার পাঁচটির মধ্যে একটি করে কালো ডিম পেয়েছি। কালোটিসহ অন্যান্য ডিম প্রতিদিন বিক্রি করি। ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে হাঁসের খাবার কেনা হয়। এ ছাড়া আজ শনিবারও একটি কালো ডিম পেয়েছি খোপ থেকে। আজ দুপুরে দুটি কালো ডিম রান্না করে খেয়েছি। আর বিকেলে একটি কালো ডিম ভেজেছি। তবে ডিম কালো হলেও কুসুম অন্যান্য ডিমের মতই। কুসুমের রঙে কোনো ভিন্নতা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্যাম্পবেল হাঁস বেশির ভাগই নীলচে রংয়ের ডিম দেয়, সাদা ডিম দেয় না বললেই চলে। তাই ডিম যেহেতু নীল, সাদা ও লাল বর্ণের হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে কালোও হতে পারে। তাই কালো ডিম কেন দিলো, তা নিয়ে তেমন কোনো চিন্তাও করিনি।’

কালো ডিম পাড়ার বিষয়টি নাজমা বেগম কোনো চিন্তা ভাবনায় না নিলেও মূলত তাঁর কাছ থেকে যারা ডিম কিনেছেন, তাদের মাধ্যমেই কালো ডিম পাড়ার বিষয়টি শনিবার বিকেলে জানাজানি হয়। এরপর সেই কালো ডিম দেখার জন্য ওই বাড়িতে গেলে একটি ডিম দেখতে পায় কৌতূহলী লোকজন। উৎসুক লোকজনের সামনেই সেই কালো ডিমটি ভেঙে ভেজে খান ওই পরিবার।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অমল কুমার সরকার বলেন, ‘হাঁসের কালো ডিম কেনো হয়, সেটা আমার জানা নেই।’