মোংলায় প্রতিবন্ধীর জায়গা দখল করে ব্যবসায়ীর ভবন!
মোংলায় এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জমি দখল করে জোরপূর্বক ভবন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী সেলিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই প্রতিবন্ধী পরিবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি।
এই সুযোগে জমি দখলকারী জাহাজ ব্যবসায়ী সেলিম হাওলাদার উপজেলার কাইনমারী এলাকায় তার বিলাসবহুল বিল্ডিংয়ে আরও চাকচিক্য করছেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ওই ব্যবসায়ীকে ভুক্তভোগী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জায়গা বুঝিয়ে দিতে বললেও অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ চার বছরেও তা বুঝিয়ে দেননি ওই ব্যবসায়ী সেলিম। তাই একেবারেই নিরুপায় হয়ে প্রতিবন্ধী এয়াছিন আলী খাঁয়ের বাবা মুনছুর আলী খাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী এয়াছিন আলীর বাবা মুনছুর আলী জানান, ১৯৯৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর কাইনমারী মৌজায় স্থানীয় মান্দার মজুমদারের কাছ থেকে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে আছেন তিনি। ২৬ শতাংশ জমি থেকে তিনি তার প্রতিবন্ধী ছেলে এয়াছিন আলীকে ১৬ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেন তিনি। ওই জমির মধ্যে তার পাশের মো. রুস্তম হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদার জোরপূর্বক এক শতাংশ জমি জবর দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাধা দিলে মুনছুর আলী খাকে নানা হুমকি দেন সেলিম।
পরে সংশ্লিষ্ট চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলামের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে জমি পরিমাপকারী আমিন দিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমি ছয় বার মাপ দেওয়া হয়। এতে এয়াছিন আলীর ১৬ শতকের মধ্যে এক শতক জমি দখলের প্রমাণ মেলে সেলিমের বিরুদ্ধে। পরে ওই জমি ছেড়ে কিংবা বাজার দরে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আজও তা না দিয়ে দখলকৃত জায়গায় চাকচিক্যময় বিল্ডিং করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী সেলিম হাওলাদার।
এ বিষয়ে সেলিম হাওলাদার বলেন, প্রতিবন্ধী এয়াছিন হাওলাদার আমার মধ্যে জমি পাবে আর আমি তার মধ্যে জমি পাব। মাপ হলে তার জমি ছেড়ে দিব, তা না হলে টাকা দিয়ে দিব।
চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন, সেলিম হাওলাদার প্রতিবন্ধী এয়াছিন আলীর জায়গা দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন এ ঘটনা সত্য। সেলিমকে প্রতিবন্ধীর জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হলেও গত চার বছরেও তিনি তা করেননি। ব্যবসার সুবাদে সেলিম বেশ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবন্ধী এয়াছিন আলীর জমি দখলের বিষয়ে ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন, ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।