মোংলায় সংখ্যালঘু পরিবারের জমি ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

Looks like you've blocked notifications!
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিচ্ছেন ভুক্তভোগী নরোত্তম বিশ্বাস ও তার পরিবার। ছবি : এনটিভি

মোংলায় একটি সংখ্যালঘু পরিবারের প্রায় দুই কোটি টাকার জমি জবরদখল করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগী নরোত্তম বিশ্বাস।

এর আগেও এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে ওই ভুক্তভোগী পরিবার। উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী মৌজায় তিন দশমিক ৪৫ একর জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নরোত্তম বিশ্বাসের। এরপর তিনি তার নিজ নামীয় জমি ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন এবং ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিকের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপি দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পেলেই দায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বরাবর পাঠানো স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের দুই ছেলে নরোত্তম বিশ্বাস ও প্রেমানন্দ বিশ্বাস। তাদের নামীয় মালগাজী মৌজার ১৩৭ ও ১৩৮ এসএ খতিয়ানের তিন দশমিক ৪৫ একর জমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বার জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে বিক্রি করে দিয়েছেন।

নরোত্তম বিশ্বাস স্মারকলিপিতে বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও খুনসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে ওই জমি জবরদখল করা হয়েছে। ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিককে অদৃশ্য কারণে ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন শেল্টার দিয়ে আসছেন। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন নিজেকে বড় মাপের দাঙ্গাবাজ ও গডফাদার হিসেবে নিজেকে জাহির করে মোংলা এলাকাজুড়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছে সংখ্যালঘু পরিবারটি। 

এ ব্যাপারে ইউএনও জানান, সংখ্যালঘু ওই পরিবারের কিছু জমি জবর দখলের মাধ্যমে হাতছাড়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন এবং অভিযোগও পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারের জমি ফেরত পেতে ও বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন ইউএনও।