মোংলা পৌর নির্বাচনে দলীয় একক প্রার্থী দেওয়া হবে : কেসিসি মেয়র

Looks like you've blocked notifications!
বাগেরহাটের মোংলায় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন  খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।  ছবি  : এনটিভি

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের দ্বিতীয় দফার তফসিলে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার পৌর নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিল পদে দল থেকে একক প্রার্থী দেওয়া হবে।’

সিটি মেয়র বলেন, ‘মেয়র পদ নির্ধারণ করে দিবেন দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে। সুতরাং দল থেকে যাকে দেওয়া হবে সবাইকে তাঁর হয়ে কাজ করতে হবে। দলের বাহিরে গিয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাঁর দলে কোনো ঠাঁই হবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের টিএ ফারুক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।

দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকার কোনোদিন মোংলা বন্দরের উন্নয়ন করেনি। যত উন্নয়ন সব আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করেছে তা শুধুমাত্র ভোট দিয়ে প্রতিদান দিলেও তাঁর শেষ হবে না।’

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে দলের অন্য কেউকে প্রার্থী না হওয়ার জন্য বার বার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সিটি মেয়র। সমাবেশে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকেরাও সমস্বরে তাঁর সেই হুঁশিয়ারিতে সায় দেয়।

এ সময় দলের অন্য নেতারাও তাদের বক্তব্যে দলের নির্ধারিত প্রার্থীকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী ইজারদার, উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শেখ কামরুজ্জামান জসিম ও চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম।

করোনার কারণে দীর্ঘদিন দলীয় প্রচারণা বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবারের কর্মী সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। নারী-পুরুষ উভয়রেই উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সব ওয়ার্ড নিয়েই কর্মী সমাবেশ করে দলকে বেগবান করা হবে বলে জানিয়েছে পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা।