জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসবেন। মোদির সফর কেন্দ্র করে কেউ ‘মোদিবিরোধী মিছিল-মিটিং’ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) নবনিযুক্ত প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।

মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে সামনে রেখে যারা মোদিবিরোধী মিছিল-মিটিং করছে কিংবা করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ শক্তভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিভিআইপিদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, সেভাবেই আমরা তাঁদের নিরাপত্তা দেব। এখানে কম্প্রোমাইজিংয়ের কোনো সুযোগ নেই।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলাকালে রাজনৈতিক কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিভিআইপিরা আসবেন, তাই রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এরই মধ্যে যাঁরা এ ধরনের (মিছিল-মিটিংয়ের) কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, আমরা আশাবাদী তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তাঁরা নিজেরাই এ ধরনের দেশবিরোধী বা রাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, এমন কর্মসূচি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।’

‘তারপরও যদি কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কেউ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে শক্তহাতে আইনগত ব্যবস্থা যেটি, সেটি আমরা করব,’ যোগ করেন মনিরুল ইসলাম।

সদ্যবিদায়ী ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘অনুষ্ঠান চলাকালীন ১৭ থেকে ২৬ মার্চ রাস্তায় চলাফেরার ক্ষেত্রে কিছুটা ট্রাফিক সমস্যা হতে পারে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস-আদালত কিংবা পরীক্ষার জন্য আগে বের হওয়ার অনুরোধ করছি। রাষ্ট্রের সম্মানের কথা চিন্তা করে জনগণের এটুকু স্যাক্রিফাইস করতে হবে।’