মোবাইলে মেসেজ পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার, আটক ২

Looks like you've blocked notifications!
আজ বুধবার সকালে জেলা ডিবির কার্যালয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীকে উদ্ধারের ব্যাপারে জানান। ছবি : এনটিভি

নওগাঁয় অপহরণের পর পুলিশ সুপারের মোবাইলে মেসেজ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকির বাবা-মাকে আটক করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে জেলা ডিবির কার্যালয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকির সঙ্গে পরিচয় হয় মেয়েটির। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রকি বিভিন্ন ছেলেকে ডেকে এনে টাকার জন্য জিম্মি করতে বললে সে রাজি হয় না। ফলে তাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে গত ৩ অক্টোবর বিকেলে মেস থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয় মেয়েটি। এরপর মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান রকি ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিজ বাড়ি নিয়ে যান। এরপর তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে রেখে ৯ দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন চালান। এরই এক পর্যায়ে গতকাল রাতে ওই কিশোরী অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকির মোবাইল থেকে পুলিশ সুপারকে মেসেজ করে তাকে উদ্ধারের কথা জানান।

এরপর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক দিকনির্দেশনায় রাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকি পালিয়ে যান। তবে তার বাবা মোজাম্মেল হক এবং মা তাছলিমা বেগমকে আটক করা হয়।

মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামসুদ্দিনসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।