মোয়াজ্জেমের সাজা হয়েছে, আমরা সন্তুষ্ট : নুসরাতের পরিবার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/28/nusrat_family.jpg)
‘ওসি মোয়াজ্জেমের যে সাজা হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এ সাজা যেন বহাল থাকে সেই প্রত্যাশা করছি।’ রায়ের পরই এমন প্রতিক্রিয়া জানান নুসরাতের ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান।
অপরদিকে নুসরাতের মামা সৈয়দ সেলিম এনটিভিকে বলেন, ‘নুসরাত আমাদের ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু শিক্ষা দিয়ে গেছে, প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করতে। যেন পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
সেলিম আরো বলেন, ‘এটা একটা প্রত্যাশিত রায়। আমরা রায়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমনকে ধন্যবাদ জানাই। তবে মামলায় তিনটি ধারার মধ্যে একটি ধারায় খালাস দেওয়ায় এ বিষয়ে কোনো আপিল করবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে নুসরাতের মামা বলেন, এ বিষয়ে সুমন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করব।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। জরিমানার ১০ লাখ টাকা ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারকে পরিশোধ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। নুসরাত জাহান রাফির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওই মামলা করা হয়েছিল।
রায়ে বিচারক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া ২৯ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা দিতে ব্যর্থ হলে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন। জরিমানার ১০ লাখ টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোনাগাজী থানায় মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলায় এবং তাঁর জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে এ মামলা করেন।