মৌলবাদকে রুখতে পিছপা হব না : ছাত্রলীগ
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কোনো চক্রান্ত ছাত্রলীগ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেন, যে ছাত্রলীগ করোনাপরিস্থিতিতে মানবতার সেবায় এগিয়ে গেছে, সেই ছাত্রলীগ বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস কিংবা মৌলবাদকে রুখতে পিছপা হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন আল নাহিয়ান খান জয়।
উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রলীগ। সমাবেশের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী এলাকা থেকে বিশাল মিছিল বের হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুন্দরভাবে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে, ঠিক তখনই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই অপশক্তিকে শক্তহাতে দমন করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী শহিদ হন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবার জেগে উঠবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি মামুনুল হককে ছাত্রলীগের সামনে রাজপথে নামার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা কথা বলে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী অ্যাখ্যা দিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী সংবিধানের চারটি নীতির একটি হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা। যারা এই নীতিকে অস্বীকার করে তারা সংবিধানকে অস্বীকার করে এবং রাষ্ট্রদ্রোহী৷ এদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মপ্রাণ। কিন্তু কেউ যদি তাদের ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়, তাহলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, মামুনুল হকের বাবা আজিজুল হক ছিলেন একজন স্বঘোষিত রাজাকার। এই গং বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কায়েম করতে চায়। তারা স্বাধীনতার সময় ব্যর্থ হয়েছে, এখনো ব্যর্থ হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন যাতে কেউ ওয়াজের নামে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে না পারে।
সমাবেশে ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।