মৌলভীবাজারে করোনায় মৃত কাউন্সিলের দাফন সম্পন্ন

Looks like you've blocked notifications!
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবদুল আহাদের জানাজা। ছবি : এনটিভি

করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এই প্রথম মৃত্যুবরণকারী শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবদুল আহাদের (৬০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে দাফন করা হয়।

এর আগে বিকেল ৩টায় শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদ মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা হয়। ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলা শাখার টিমপ্রধান ও মৌলভীবাজার অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সহসভাপতি তরুণ আলেম মাওলানা এহসানুল হক জাকারিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সংগঠনের সদস্যরা পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্কসহ করোনা প্রতিরোধক উপকরণ পরে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা এহসানুল হক জাকারিয়া।

এহসানুল জাকারিয়া বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলার যেকোনো উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিকে ইসলামী নিয়মে জানাজা ও দাফন করতে চাইলে আমাদের ফোন করলেই আমরা চলে যাব তাদের দাফন-কাফনে। শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এই প্রথম আমরা করোনায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কাফন, জানাজা ও দাফন করেছি।’

পৌর কাউন্সিলর মো. আবদুল আহাদ কয়েক দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। গত ২৩ মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ২৫ মে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ২৬ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে, জেলার জুড়ীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী আবদুল হান্নানের (৩৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের সময় পারিবারিক কবরস্থানে ইসলামী রীতি অনুযায়ী তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

‘টিম ফর কোভিড ডেথ’ এবং ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন নামের দুটি স্বেচ্ছাসেবক টিম দাফনের কাজ সম্পন্ন করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জুড়ীর ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিক, জুড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হুমায়ুন রশীদ রাজী প্রমুখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ বলেন, ‘সিলেটে মৃত্যুবরণ করায় জুড়িতে লাশ আসার পর পরই নিয়ম অনুযায়ী আমাদের উপস্থিতিতে দাফন করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মৃত ব্যক্তির ভাতিজা আবদুর রাজ্জাক জানান, গত ১১ মে কিডনিজনিত রোগ নিয়ে তাঁর চাচা আবদুল হান্নানকে সিলেট রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই হাসপাতালে তাঁর চাচার শরীরে করোনা ধরা পড়লে তারা ১৬ মে তাঁকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি নিজেও চাচার সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন।