মৌলভীবাজারে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট
মৌলভীবাজারে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট ডেকেছে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি, ট্রাক ট্রাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন বন্ধ ও জেলা সদরে স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট।
এদিকে আগামী ১৯ নভেম্বর শনিবার সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এটি সরকারের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি।
মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, চাহিদার তুলনায় ১০ গুণ বেশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে এ জেলায়। এতে রাস্তায় বেড়েছে যানজট। পরিবহণগুলো পড়েছে লোকসানে। মানুষকে বেশি টাকায় গন্তব্যে যেতে হয়। তা ছাড়া শহরজুড়ে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশারও ছড়াছড়ি। এগুলো বন্ধ করার দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ ও ট্রাক ট্রাংকলরি ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান অদুদ জানান, আঞ্চলিক মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধের পাশাপাশি জেলায় একটি স্থায়ী ট্রাক ও বাস স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবি তাদের। স্ট্যান্ড না থাকায় তাদের রাস্তার ওউপরে গাড়ি রাখতে হয়। এই দাবিতে ১৮ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান। তিনি বলেন, ‘ধর্মঘট যদি করতে হয় তাহলে ওয়ার্কিং ডে-তে ধর্মঘট ডাকার কথা। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে কিসের ধর্মঘট? এটি হচ্ছে তথাকথিত ধর্মঘট।’
এম নাসের রহমান বলেন, ‘বিএনপি এর আগে আরও ছয় জায়গায় সমাবেশ করেছে। ওই সব সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ওই ধর্মঘট দিয়ে বিএনপির সমাবেশে লোক সমাগমের কমতি ছিল না। প্রতিটি সমাবেশে দুই থেকে আড়াই লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল। সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল ১০ থেকে ১৫ ভাগ, বাকি ৮৫ ভাগ ছিল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ সমাবেশে যায় নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার জন্য।’
বিএপির এই নেতা বলেন, ‘ধর্মঘট দিয়ে কোনো লাভ নেই, সিলেটের গণসমাবেশে দুই লাখের বেশি মানুষ হবে।’