‘ম্যাজিক মাশরুমের’ ঘোরে নেশাগ্রস্ত ছাদ থেকেও ঝাঁপ দিতে পারে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/07/rab_arrested-4.jpg)
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে ‘ম্যাজিক মাশরুম’ মাদক ও বিদেশি মদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- নাগিব হাসান অর্ণব (২৫) ও তাইফুর রশিদ জাহিদ (২৩)।
র্যাব পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে আলোচিত মাদক ম্যাজিক মাশরুমের পাঁচটি বারে ১২০টি স্লাইস এবং দুই বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বারে ম্যাজিক মাশরুম বা সিলিসিবিনের পরিমাণ দুই দশমিক পাঁচ গ্রাম।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/07/07/rab_arrested-1.jpg 687w)
‘ম্যাজিক মাশরুম’ একটি সাইকেলেডিক (হ্যালোসিনোজেন) মাদক উল্লেখ করে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, এটি বিভিন্ন খাবারে যেমন- কেক ও চকলেটে মিশিয়ে সেবন করা হয়। এ ছাড়া পাউডার ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। এই মাদক নিলে সেবনকারীর নিজের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমনকি নেশার ঘোরে কেউ কেউ ছাদ থেকেও ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। নিজেই নিজের হাত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে।
এটি সেবনে শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে মানসিক রোগ যেমন সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে। এ ধরনের অপ্রচলিত মাদকের চাহিদা তৈরি হয় মাদকসেবীদের নতুনত্বের প্রতি আগ্রহের কারণে।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তাইফুর রশিদ জাহিদ প্রথমে গাঁজা ও মদপানে আসক্ত ছিলেন। এরপর তিনি ২০১৯ সালে ক্রমান্বয়ে এলএসডি, ডিএমটিসহ বিভিন্ন ধরনের সাইকেডেলিক মাদক নিয়মিত সেবন ও বিক্রি করা শুরু করেন। মাদকের নেশার টানেই ইন্টারনেটে ডার্ক সাইটে ‘ম্যাজিক মাশরুম’ সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি।
ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ পাওয়ার পর তাইফুর রশিদ জাহিদ বিদেশে অবস্থানরত তার বন্ধু ও পরিচিত জনদেরকে এটি বাংলাদেশে নিয়ে আসার অনুরোধ জানায়। কানাডায় অবস্থানরত তার বাল্যবন্ধু নাগিব হাসান অর্ণব অধিক মুনাফা লাভের আশায় তাইফুর রশিদ জাহিনের এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় বলেও দাবি করেন র্যাব কর্মকর্তা।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গত মে মাসে নাগিব হাসান ম্যাজিক মাশরুমের একটি চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তাইফুর ও নাগিব এই নেশা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।