মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেরা পাবেন ১৬ হাজার ৭৫২ টন চাল

Looks like you've blocked notifications!
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ছবি : সংগৃহীত

সাগরে ৬৫ দিন (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই) মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭৫১ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। উপকূলীয় ১৪ জেলার ৬৭ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর দুই লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবার পাবে এ চাল।

গতকাল সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের জন্য এ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় নিবন্ধিত প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রথম ধাপে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ৪২ দিনে (২০ মে থেকে ৩০ জুন) মোট ৫৬ কেজি চাল দেওয়া হবে।

সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য চলতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মৎস আহরণ নিষিদ্ধের এ সময় জেলেদের ভিজিএফ চাল প্রদান করে থাকে সরকার। এবার নিবন্ধিত জেলেদের ১৬ হাজার ৭৫২ টন চাল দেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সেখানে ভিজিএফের চাল আগামী ১০ জুনের মধ্যে উত্তোলন ও মৎস্যজীবীদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কার্ডধারী জেলে ছাড়া চাল না দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মৃত কিংবা পেশা পরিবর্তনের কারণে জেলে সংখ্যার পরিবর্তন হলে, তা পর্যালোচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী ভিজিএফ চাল বিতরণ করতে হবে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।