‘যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না’

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুর জেলা মহিলা লীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আজ শনিবার দুপুরে শহরের চর কমলাপুরের সেরিনা গার্ডেনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক বলেছেন, ‘যতোদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন ততোদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। এখন নারী জাগরণের দেশ আমাদের। আর এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা লীগ।’

ফরিদপুর জেলা মহিলা লীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আজ শনিবার দুপুরে শহরের চর কমলাপুরের সেরিনা গার্ডেনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদা বেগম কৃক এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মান্নান। সভা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আনার কলি পুতুল।

মাহমুদা বেগম কৃক বলেন, ‘ফরিদপুর থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সালেহা মোশাররফের মতো নারী নেত্রী সংসদ সদস্য হয়েছেন। আমি চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই ফরিদপুর থেকে সরাসরি প্রার্থী হয়ে অংশ নিক নারীরা।’

সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সস্পাদক সেলিনা আক্তার ফাতেমা, কোষাধ্যক্ষ রাহেলা পারভিন, সদস্য মেহজাবিন আলী।

সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফরিদপুরের প্রয়াত রাজনীতিবিদ এসএম নুরুন্নবীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, জেলা মহিলা লীগের সাবেক সদস্য সচিব আইভি মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, মধুখালি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া সালাম, জেলা পরিষদের সদস্য আনজুমান আরা বেগম প্রমুখ। 

বক্তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফরিদপুরের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলার রাখাল রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৃহত্তর অর্থে এই ফরিদপুরের সন্তান। 

সভায় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আগ্রহী প্রায় অর্ধশত নারী নেতাদের বক্তব্য শোনেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ সময় বক্তারা তাদের পরিচিত তুলে ধরেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, আওয়ামী পরিবারের দুঃসময়ে মহিলা লীগের মা-বোনেরা ভূমিকা রেখেছেন।

বক্তারা যোগ্যদের নেতৃত্বে আনার দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগে এখন লোকের অভাব হবে না। কিন্তু দুঃসময়ে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। যারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে দলের জন্য শ্রম দিয়েছেন তাদেরই দলে অংশ নেওয়া উচিত।