যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের দাফন মঙ্গলবার
দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের জানাজা ও দাফন আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বেসরকারি এভার কেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা (৭৪) মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের শিল্প খাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিকেলে যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর যমুনা ফিউচার পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে নুরুল ইসলাম বাবুলের লাশ দাফন করা হবে।
বরেণ্য এই শিল্পপতি দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যমুনা ফিউচার পার্কও এই শিল্পগোষ্ঠীর অন্যতম স্থাপনা। তিনি ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর একে একে গড়ে তুলেছিলেন অন্তত ৩৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান; যেখানে কর্মসংস্থান তৈরি করেছিলেন হাজার হাজার মানুষের। যমুনা গ্রুপ দেশের ইলেট্রনিক্স, বস্ত্র, ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, মোটরসাইকেল, বেভারেজ টয়লেট্রিজ, নির্মাণ এবং আবাসন খাতের ব্যবসায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছিল।
গত ১৪ জুন নুরুল ইসলাম বাবুলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওই দিনই তাঁকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় তাঁর কিডনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিশিষ্ট এই শিল্পোদ্যোক্তার চিকিৎসায় এভার কেয়ারের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদের নেতৃত্ব ১০ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর বাইরে চীনের চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সিঙ্গাপুরের মাউন্ড এলিজাবেথ হাসাপাতালের দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সবার চেষ্টা ব্যর্থ করে পরপারে পাড়ি জমান খ্যাতনামা এই শিল্পপতি।
নুরুল ইসলাম বাবুলের জন্ম ১৯৪৬ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের কামালখোলা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য সালমা ইসলাম। ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেয়ে রোজালিন ইসলাম, মনিকা ইসলাম ও সনিয়া ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।