যশোরে পুলিশ হেফাজতে আ.লীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!

পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্ত হয়ে যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান বিপু অভিযোগ করেছেন, তাঁকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ছাড়া পাওয়ার পর রাতেই তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন দাবি করেছেন, পুলিশ হেফাজতে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।

অভিযোগ করা হচ্ছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের পুরাতন কসবা শহিদ মিনার এলাকায় সাদা পোশাকের দুই পুলিশ সদস্যকে মারপিট করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ইমরান নামের এক পুলিশ সদস্যকে ধরে শহিদ মিনারের পাশে আবু নাসের ক্লাবে নিয়ে মারপিট করা হয়। এ সময় সেখানে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান বিপু ছিলেন। পুলিশ সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় রাতেই মাহামুদ হাসান বিপুসহ চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। হেফাজতে ১৯ ঘণ্টা রেখে পরের দিন অর্থাৎ গতকাল দুপুরে বিপুকে যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেন, হেফাজতে থাকা অবস্থায় দফায় দফায় বিপুর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিটের চিহ্ন রয়েছে। মুক্ত হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রাতেই তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে আজ তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

অবশ্য জেলা পুলিশ সুপার দাবি করেছেন, পুলিশ হেফাজতে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও যেহেতু অভিযোগ করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে বলা যাবে।

এদিকে পুলিশ সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় বিপুর সঙ্গে শাহিনুজ্জামান তপু ও ইমামুল হককে আসামি করা হয়েছে।