যশোরে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শ্রমিককে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
যশোরের অভয়নগর উপজেলার গ্রামতলা গ্রামে নিহত শ্রমিক কেয়ার বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি : এনটিভি

যশোরের অভয়নগরে চামড়ার মিল এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজের অভ্যন্তরে কেয়া খাতুন (২৮) নামের এক শ্রমিকের শরীরে এসিড ঢেলে ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই মিলের অভিযুক্ত শ্রমিক শামীম হাসানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত শামীম অভয়নগর উপজেলার জাফরপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। আর নিহত কেয়া খাতুন (২৮) একই উপজেলার গ্রামতলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, শামীম ও কেয়া দীর্ঘদিন ধরে এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের দুজনেরই আগে বিয়ে হয়েছিল এবং দুজনেই তালাকপ্রাপ্ত। মিলটিতে দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে শামীম ও কেয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল বেলা ২টার দিকে মিলে কাজ করার সময় শামীম বিয়ের জন্য কেয়াকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু এতে কেয়া রাজি না হওয়ায় শামীম লোহার রড দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করেন। এতে কেয়া অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর মিলের কাজের জন্য বালতিতে রাখা এসিড কেয়ার শরীরে ঢেলে দেন শামীম। এতে তার পুরো শরীর ঝলসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা শ্রমিকরা কেয়াকে উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু পথেই মারা যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শামীমকে গ্রেপ্তার করে।

শামীম দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের জন্য কেয়াকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন নিহত কেয়ার মামা হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শরীরে এসিড ঢেলে ও পিটিয়ে কেয়াকে মেরে ফেলেছেন শামীম।’

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, ‘নিহত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শ্রমিক কেয়ার মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শামীমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’