যশোরে ৭১টি স্বর্ণের বারসহ আটক ৩
যশোরের শার্শার সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পাচারের সময় ৬২টি স্বর্ণের বারসহ (সাত কেজি ২৫ গ্রাম) দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে গোড়পাড়া ফাঁড়ি পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় আমতলা সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ ছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে আরও ৯টি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শার্শায় আটক হওয়া দুই পাচারকারী হলেন নাইম হোসেন ও আজহারুল ইসলাম। তাঁরা শার্শা উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি (নাভারন সার্কেল) জুয়েল ইমরান জানান, গোড়পাড়া সীমান্ত দিয়ে বিপুল স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে—এমন সংবাদে পুলিশের একটি টহলদল সেখানে অভিযান চালিয়ে নাইম হোসেন ও আজহারুল ইসলামকে আটক করে। পরে তাঁদের দেহ তল্লাশি করে ৬২টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আগামীকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডিশনাল এসপি।
এ ঘটনায় পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন এলকা থেকে আজ দুপুরে নয়টি স্বর্ণের বারসহ এক পাসপোর্টধারী যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাঁর নাম সিদ্দিকুর রহমান (৪৫)। তাঁর দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকানো ৯টি স্বর্ণের বার (এক কেজি ৪৪ গ্রাম) জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা বলে শুল্ক গোয়েন্দারা জানান। আটক সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা থানার সিংরা বুনিয়া গ্রামে।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান নিয়ে ভারতে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা ইমিগ্রেশন এলাকা থেকে সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করে। পরে দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের ভেতর লুকানো ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।