যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতির ঘটনায় দুদকে অভিযোগ
চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন বোর্ডের সচিব এ এম এইচ আলী আর রেজা। আজ রোববার সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ পেয়ে দুপুর ১২টায় দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা যশোর শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম। বোর্ডের চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা টাকা ফেরত দিতে যোগাযোগ করছেন।
চলতি অর্থবছরে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করে। এ ৯টি চেক সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। চেকগুলো জালিয়াতি করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে এক কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১০ টাকা এবং শাহী লাল স্টোরের নামে ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। বোর্ডের অভ্যন্তরীণ অডিটে বিষয়টি ধরা পড়ার পর আজ বোর্ডের সচিব এ এম এইচ আলী আর রেজা দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ে গিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। পরে দুদক কর্মকর্তারা সব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালামের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আজও তিনি অফিসে আসেননি। বোর্ডে গিয়ে তার কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। বোর্ডের চেয়ারম্যান তার অনুপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনরা টাকা ফেরত দিতে যোগাযোগ করছেন। তবে আমরা আইনের দারস্থ হয়েছি। যা হবে, তা আদালতের মাধ্যমেই হবে।