যেখানে যেখানে দরকার শাটডাউন করা হবে : ওবায়দুল কাদের
ভয়ংকর শত্রু করোনাভাইরাস সম্মিলিতভাবে পরাজিত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের যেখানে যেখানে দরকার, শাটডাউন করা হবে। আন্তজেলা বাস চলাচলের বিষয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে শাটডাউন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে প্রস্তুতি আছে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রয়োজন হলে শাটডাউন করা হবে। যেখানে শাটডাউন প্রয়োজন, করা হবে। সবার আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। সে জন্য যা যা করণীয়, করা হবে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে কথা একটাই ছিল, টেস্ট টেস্ট অ্যান্ড টেস্ট, তিনবার এটি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, টেস্টের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত, আমরাও সেটি অনুসরণ করে এগিয়ে যাবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমেরিকার মতো বিরাট শক্তি সেখানেও বিভিন্ন এয়ারপোর্টে স্ক্রিনিং বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। আমাদের তো অভিজ্ঞতা নেই। তবু ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যা প্রয়োজন, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবু সতর্কভাবে করোনা মোকাবিলার সব প্রস্তুতি নেবে। এ ব্যাপারে কী করণীয়, মিডিয়ার সাজেশনও প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রয়াসের চেয়েও শক্তিশালী আর কিছু নেই।’
সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে কঠোর নজর দেবে। সাংবাদিকরাও সঠিক রিপোর্ট করবেন। এখানে প্রাণ বাঁচানোর বিষয়। প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এখানে রাজনীতি না করে সব রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ, করোনা অভিন্ন শত্রু, কোনো পলিটিকস না করে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা। মানসিকভাবে আমরা ওয়েল ইক্যুয়িড। এটা একটা বড় শক্তি। যে ইক্যুইপমেন্ট দরকার, তার যে ঘাটতি সেটি পূরণের চেষ্টা করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যাত্রী কমে গেছে, পরিবহন মালিকরা হতাশ। এগুলো অটোমেটিক্যালি কমে যাবে। পরিস্থিতি কমিয়ে ফেলবে। তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ব্যবস্থা নেব।’
রাজনীতি না করে সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের শত্রু করোনা ভয়ংকর। আমরা জাতি হিসেবে গতকালও প্রমাণ করেছি, ভয়ংকর করোনার যে শক্তি তার চেয়েও বড় শক্তি আমাদের সম্মিলিত শক্তি। এটি প্রতিরোধযোগ্য। অভিন্ন এ শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা এটি পরাজিত করতে পারব বলে আশা করছি।’
রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি যে সভা-সমাবেশে যাব না। সে জন্য বঙ্গবন্ধুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সীমিত করেছি। টুঙ্গিপাড়ায় মানুষের ঢল নামার কথা, সেখানে আমরা অনেক সীমিত করেছি। অনুষ্ঠানমালা পুনর্বিন্যাস করে বিশ্বব্যাপী করোনার যে আতঙ্ক, তা যেন সামনে বাড়তে না পারে, সে জন্য যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করব। করোনা আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু। রাজনৈতিক যে চিন্তা-চেতনা সবকিছুর ঊর্ধ্বে করোনা মোকাবিলা।’