যে আইনে মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ এর উপধারা ১ অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এই আইনে বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে সরকার যে কোনো সময় বিনাশর্তে বা দণ্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয় সেরূপ শর্তে যে দণ্ডে সে দণ্ডিত হয়েছে, সে দণ্ডের কার্যকরণ স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দণ্ড বা দণ্ডের অংশ বিশেষ মওকুফ করতে পারেন।’ 

বিএনপির চেয়ারপারসন গত দুই বছর এক মাস ১৫ দিন ধরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতির কথা উল্লেখ করে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সবশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন  খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পান খালেদা জিয়া। আপিলের পর হাইকোর্টে তা বেড়ে ১০ বছর সাজা হয়। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

বর্তমানে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতির কথা উল্লেখ করে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সবশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেণ হাইকোর্ট। এরপর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মানবিক কারণে মুক্তির আবেদন জানান।

এই অবস্থার মধ্যেই আজ তাঁর মুক্তির সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী। গুলশানের নিজ বাসভবনে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।    

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কখন মুক্তি পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তির বিষয়ে সব কাগজপত্র এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মুক্তির ব্যবস্থা করবে।’ 

মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া কোথায় থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি তাঁর বাসায় থাকবেন। তিনি স্বাধীনভাবে যেকোনো জায়গায় চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

বিদেশে চিকিৎসা করতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিদেশ যাওয়ার মানে সুইসাইড করার শামিল।’

ছয় মাস পর কি দণ্ড স্থগিতে সময় বাড়ানো হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ছয় মাস আগে শেষ হোক তারপর পরের বিষয় বিবেচনা করা হবে।’