যে কারণে ওয়াক আউট করলেন বিএনপির হারুনুর রশিদ
সংসদের বৈঠকে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার বিরুদ্ধে ‘বক্তব্যে হস্তক্ষেপের‘ অভিযোগ তুলে ওয়াক আউট করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।
নিজের বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হারুনুর রশিদ চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ‘জাতীয় ঐক্য‘ গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন। এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। সংসদে তারেক জিয়ার প্রসঙ্গ ওঠায় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা প্রায় সবাই তার প্রতিবাদ করেন। এ সময় সংসদে হইচই শুরু হয়।
এরই মধ্যে হারুনুর রশিদের নির্ধারিত ১২ মিনিট শেষ হয়ে যায়। তবে তিনি না বসে বক্তব্য অব্যাহত রাখেন এবং সময় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডেপুটি স্পিকারের কাছে আবেদন করেন।
কিন্তু ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সময় না বাড়ালে এর প্রতিবাদে সংসদ কক্ষ ত্যাগ করতে উদ্যত হন হারুনুর রশিদ। ডেপুটি স্পিকার তখন তাঁকে বসতে এবং তার কথা শুনতে অনুরোধ করেন।
সংসদ সদস্য হারুন চেয়ারে বসলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আপনি জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন, এটি সুন্দর প্রস্তাব। কিন্তু আপনি এমন দুজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন যাদের কথা আমি সংসদের এই চেয়ারে বসে উচ্চারণ করতে চাই না। একটি নির্বাচিত সরকার কোনো কনভিক্টেড (সাজাপ্রাপ্ত) ব্যক্তির সঙ্গে ঐক্য করতে পারে না।’
এ সময় ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, ‘বিএনপির এই এমপি কিছু অসংসদীয় কথা তার বক্তব্যে বলেছেন।’ সংসদের কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
পরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পরামর্শে ডেপুটি স্পিকার বাজেটের ওপর আরো এক মিনিট বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন হারুনুর রশিদকে।
এ সময় হারুন ফ্লোর নিয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং স্পিকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আপনি সময় বাড়িয়ে দেননি। মাননীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলার পর আপনি এক মিনিট সময় বাড়িয়েছেন। আমি আর বক্তব্য দেব না। আপনি আমার বক্তব্যে ইন্টারাপ্ট করেছেন। এর প্রতিবাদে আমি সংসদ থেকে ওয়াক আউট করছি।’ এই বলে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন হারুন।
ওয়াকআউটের পর সরকারি দলের কেউ কেউ ফ্লোর চাইলেও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া তা দেননি। তিনি বলেন, ‘উনার (হারুনের) প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য আমি একাই যথেষ্ট। সংসদে কোনো সদস্য অসংসদীয় বক্তব্য দিলে আমি অবশ্যই ইন্টারাপ্ট করব। এটা সরকারি দলের কেউ দিলেও করব, বিরোধী দলের কেউ দিলেও করব।’