যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫। ফাইল ছবি

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রাম দুলারীকে হত্যার দায়ে স্বামী কৃষান দাসকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আলী আজগর স্বপন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি কৃষান দাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপরে তাকে আবার মৃত্যু পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

পিপি বলেন, বিচারক আসামি কৃষান দাসকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। এটাকা আসামির সম্পত্তি হতে আদায়যোগ্য হবে রায়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, কৃষান দাসের বাবা লালু দাসকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এজাহারে বলা হয়েছে, ভিকটিম কৃষান দাসের সঙ্গে ২০১১ সালে রাম দুলারীর (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ সাত লাখ টাকা খরচ করে আসামি পক্ষের যৌতুকের দাবি পূরণ করে ভিকটিমের পরিবার। বিয়ের পর স্বামী কৃষান দাস এবং তার আত্মীয়-স্বজন তাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। তারা ঘর উঠানোর জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। পরবর্তীতে বোনের সুখের কথা চিন্তা করে ভিকটিমের ভাই কৃষ্ণ দাস এক লাখ আশি হাজার টাকা দেন। আরও যৌতুকের দাবিতে আসামি ও তার পিতা লালু দাস ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মারধর করে রাম দুলারীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাম দুলারীকে ওই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। 

আরও জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে আসামির মামা জিতেন দাস ফোন করে রাম দুলারীর মৃত্যুর সংবাদ জানান। ভাই কৃষ্ণ দাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সে সময় নিহতের বাম কানে রক্ত, বাম কানের ভিতর আঘাতের চিহ্ন, কানের পাশে গাল আঘাতপ্রাপ্ত ছিল।

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই কৃষ্ণ দাস ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষান দাস ও তার বাবার বিরুদ্ধে একটি একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে ওই বছরের ২৭ জুলাই কৃষান দাস ও তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানা পুলিশ।