রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাত, গ্রেপ্তার ১

Looks like you've blocked notifications!
রংপুরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে আহত করার ঘটনায় গ্রেপ্তার রিফাত হোসেন ওরফে আলিফ। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় রিফাত হোসেন ওরফে আলিফ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ছিনতাই করা মোবাইলসহ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

আহতরা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সিদ্দিক পরাগ।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন লালবাগ এলাকায় বাইসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় চার থেকে পাঁচ জন ছিনতাইকারী সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের পথরোধ করে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাঁকে ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করে মোবাইল নিয়ে চলে যায়। এতে ওই শিক্ষকের মাথায় ও ডান হাতে গুরুতর জখম হয়।

এর আগে ভোররাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পরাগ তাঁর আবাসিক হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটে গেলে ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পরাগের বাঁ হাতের কবজির অনেকটা অংশ কেটে যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী জানান, খবর পেয়ে তাঁরা রমেক হাসপাতালে গিয়ে দুজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। দুজনের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী পরাগের অবস্থা গুরুতর।

হাসপাতালে উপস্থিত থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান জানান, রাত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা ও সড়ক নিরাপদহীন হয়ে পড়ে। প্রায় প্রতিদিন সেখানে ছিনতাইসহ নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে শিক্ষার্থী পরাগের ওপর ছিনতাইকারীদের আক্রমণের ঘটনায় উদ্‌বেগ প্রকাশ করেন এই শিক্ষক নেতা।

এরই মধ্যে রংপুর মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ দুই ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাজহাট থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৪ ও ৫। মামলা দুটির মূল আসামি রিফাত হোসেন ওরফে আলিফকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার রিফাতের দেখানো মতে তাঁর বাড়ি থেকে ছিনতাই করা দুটি মোবাইল ও ছিনতাই করা অর্থের মধ্যে তাঁর ভাগের অংশ ৭০০ টাকা এবং ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর সঙ্গে আরও দুই ছিনতাইকারী অংশ নিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।