রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে কুষ্টিয়ায় তিনদিনের অনুষ্ঠান শুরু

Looks like you've blocked notifications!
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার (২৫ বৈশাখ) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজরিত কুঠিবাড়িতে শুরু হয়েছে তিনদিনের অনুষ্ঠানমালা। ছবি : এনটিভি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (সোমবার) ২৫ বৈশাখ (৮ মে) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজরিত কুঠিবাড়িতে শুরু হয়েছে তিনদিনের অনুষ্ঠানমালা। সকাল সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ রবীন্দ্র গবেষক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

এসময় মাহবুব উল আলম বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, কাছারিবাড়িসহ তাঁর সকল স্মৃতিগুলোকে সংরক্ষণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।

এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কণ্ঠে সূচনা সংগীত পরিবেশিত হয়।

এদিকে তিনদিনব্যাপী রবীন্দ্রমেলাকে ঘিরে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আঙিনা হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।  

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন বিশ্বকবির ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ির মূল মঞ্চে প্রতিদিনই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা কুঠিবাড়ির মূল মঞ্চে রবীন্দ্রসংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করবেন।

কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েকস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এছাড়াও তিনি এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষণ আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।