রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। মানবিক কারণে নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমি জাতিসংঘে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছি। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছি।

আজ বৃহস্পতিবার  বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তুলে ধরা প্রস্তাবগুলো হলো: রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক সমর্থন ও মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা; আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, জাতীয় আদালত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলায় সমর্থন প্রদান; জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা; আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐক্যমতে মিয়ানমারের অঙ্গীকারসমূহ এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা এবং মিয়ানমারে জাতিসংঘসহ মানবিক সহায়তাকারীদের নির্বিঘ্নে প্রবেশ নিশ্চিত করা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সফরকালে ২২ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই লেভেল সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘকে কার্যকর ও জোরাল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি।’

গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা তৃতীয় চার্লস আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের শেষ ভাগে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।