রাঙামাটিতে একুশের বর্ণলিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
‘একুশ মানে মাথা নত না করা’-এই স্লোগানে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে বর্ণলিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই প্রতিযোগিতা ধারাবাহিকভাবে চলছে রাঙামাটিতে। আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিযোগিতায় জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পরে বিজয়ী ১২০ জনের হাতে পুরষ্কারের ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা ও গৌরিকা চাকমা, উন্নয়নকর্মী ও উদ্যোক্তা সাগরিকা রোয়াজা, উদীচী সভাপতি ও সচেতন নাগরিক কমিটির নেতা অমলেন্দু হাওলাদার, কবি হাসান মঞ্জু, চিত্রশিল্পী রেজাউল করিম ও মো. ইব্রাহীম।
এ সময় বক্তব্য দেন গ্লোবাল ভিলেজের পরিচালক সৈয়দ হেফাজত উল বারি সবুজ, আবৃত্তি সংগঠন আফ্রোদিতির সংগঠক সাইফুল হাসান, শুভসংঘের সভাপতি মং চিং চৌধুরী, বিতর্ক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ডিবেট ফেডারেশনের সংগঠক তুষার ধর এবং দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ফজলে এলাহী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা বলেন, ‘এই আয়োজন দেখে আমি আশাবাদী। আমার মনে হয়, এখনও সবকিছু নষ্টদের দখলে যায়নি। এখনও সুন্দর কিছু রয়ে গেছে, যা আগামীর পথচলায় আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।’
কর্মসূচির আয়োজকদের একজন মং চিং চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের বড়ভাইয়ারা ১৯ বছর আগে যে স্বপ্ন বুনেছিলেন, সেটাকে টেনে নিতে পারাটাও আমাদের জন্য গর্বের। এই আয়োজনটি একুশের সকালে রাঙামাটির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে। এই শহরের শিশুরা জানে, একুশের ভোরে এই কর্মসূচিটি হবেই।’